অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা 💚💚💚
অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
তীব্র বেদনা দায়ক এবং জটিল রোগগুলোর মধ্যে অর্শ বা পাইলস হলো একটি । এটি মানুষের মলদ্বারের রোগ । এ রোগে মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে, চারপাশে বা একপাশে, একটি বা একাধিক, গোলাকৃতি বা সুচাল গুটিকা দেখা দেয় । এ গুটিকাগুলোকে ‘বলি’ বা ‘গেজ’ বলা হয় । পায়খানা করার সময় এ বলিগুলো থেকে অভ্যন্তরীণ সমস্যার অনুপাতে কারো অধিক পরিমাণে, কারো স্বল্প পরিমাণে রক্ত যায় । আবার অনেকের রক্ত যায়ই না ।
💚💚সৃষ্টির ইতিবৃত্ত :-
প্রতিনিয়ত আবহাওয়া ও খাদ্যাদি থেকে নানা রকম বিষ ও রোগ জীবাণু আমাদের দেহের ভেতরে প্রবেশ করে । শক্তিশালী জীবনীশক্তি এ বিষসমূহের কিছু দেহাভ্যন্তরে ধ্বংস করে ও কিছু পায়খানা প্রস্রাব ও ঘর্ম ইত্যাদি স্বাভাবিক স্রাবের মাধ্যমে বাইরে বের করে দিয়ে দেহকে সুস্থ রাখে । এমন কিছু জীবাণু আছে যেগুলোকে জীবনীশক্তি ধ্বংস করতে পারে না এবং নিষ্কাশিত করাও জীবনীশক্তির সামর্থ্য হয় না । সে জীবাণুগুলো দেহের মধ্যকার ত্রিদোষ ( সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস )-এর যে কোনো দোষ বা দোষসমূহের দ্বারা প্রবল শক্তি অর্জন করে এবং মারাত্মক ব্যধির সৃষ্টি করে জীবনীশক্তির পতন ঘটানোর চেষ্টা করে । এ অবস্থায় জীবনীশক্তি যে কোনো স্রাবকারী নতুন পথের সৃষ্টি করে ওই প্রবল বিষ বা বিষবাষ্প বের করে যন্ত্রটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করে ।
💚💚অর্শের কারণ :
পুরনো কোষ্ঠকাঠিন্য ।
লিভার সিরোসিস, যকৃতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চয় ও অত্যধিক মস্তিষ্কের কাজ ।
মূত্রাশয়ের গোলযোগ, প্রোস্টেট ক্যান্সার, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জরায়ুতে চাপ পড়লে ।
আকৃতি অনুযায়ী প্রকারভেদ :-
ছোলার মতো,
আঙুরের মতো,
খেজুর গাছের শিকড়ের মতো,
রেশন গাছের গোটার মতো,
খেজুরের মতো,
ডুমুরের মতো ।
শিরা স্ফীতির ওপর প্রকারভেদ যথা :-
১. মলদ্বারের অভ্যন্তরে অর্শ : ১-২ ইঞ্চি ভেতরের দিকে শিরার স্ফীতি হয়ে বলির সৃষ্টি হয় । একে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা যায় ।
প্রথমতঃ মলদ্বারের ভেতর থেকে ব্যথাহীন রক্তপাত হয়। কিন্তু অর্শের বলি মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে না ।
দ্বিতীয়তঃ বলি মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে, তবে মলত্যাগের পর নিজেই ভেতরে চলে যায় ।
তৃতীয়তঃ বলিগুলো বাইরে বের হয়ে আসে এবং হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে না দিলে বাইরেই থেকে যায় ।
২. মলদ্বারের বাইরে অর্শ : মলদ্বারের বাইরে বলির সৃষ্টি হয় এবং হাত দিয়ে তা অনুভব করা যায় এবং
৩. মিশ্র অর্শ : এক্ষেত্রে মলদ্বারের ভেতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই অর্শের বলি পাওয়া যায় ।
💚💚💚লক্ষণসমূহ :-
পায়খানা করার সময় অত্যধিক বা অল্প পরিমাণে রক্ত যেতে পারে ।
গুহ্য দ্বারে জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যায় ।
টাটানি ও যন্ত্রণা ।
কাঁটাবিদ্ধ অনুভূতি ।
মাথা ধরা ও মাথা ভার বোধ ।
উরুদেশ, বক্ষ, নাভির চারপাশে ব্যথা ও মলদ্বারে ভার বোধ ।
কোমর ধরা ও কোষ্ঠবদ্ধতা ।
💚💚অর্শ রোগে আক্রান্তদের করণীয় :-
নিয়মিত পায়খানা করা ।
পেটে হজম হতে চায় না এমন খাদ্য বর্জন করা ।
চিকিৎসকের পরামর্শমতো বিশ্রাম নেয়া ।
হাতুরে ডাক্তার বা কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা না করা ।
💚প্রতিরোধের উপায় :-
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা ।
নিয়মিত ঘুমানো ।
পরিমাণ মতো পানি পান করা ।
অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা ।
তরলও সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ ।
অধিক মশলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করা ।
💚হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-
হোমিওপ্যাথি রোগ নিরাময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চিকিৎসা পদ্ধতি । এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও সদৃশ উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয় । এটি উপসর্গ ও জটিলতা মুছে ফেলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোগীর ফিরে যাবার একমাত্র উপায় । সদৃশবিধানের লক্ষ্য শুধু অর্শ চিকিত্সা নয়, তার অন্তর্নিহিত কারণ ও স্বতন্ত্র প্রবণতা মোকাবেলায়ও সহায়তা করে । স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিত্সার জন্য, রোগীকে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ও রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ।
💚💚অর্শ রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক যে সকল ঔষধ সফল ভাবে কাজ করে ঃ –
অ্যাব্রোটেনাম ( Abrotanum ) ।> ভক্ষিত দ্রব্য হজম ছাড়াই নিস্ক্রান্ত হয় । হঠাৎ করে ডায়রিয়া প্রচাপিত হলে বাত ব্যথা । উদরাময় ও কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যায়ক্রমে । অর্শের বলি বের হয়, তার সাথে জ্বালা স্পর্শ ও চাপন থেকে । অর্শ দেখা যায় এবং বাত ব্যথা উপশম হয়, তার সাথে ঘন ঘন মলত্যাগের প্রবণতা, মল সামান্য কিন্তু রক্ত নিঃসরণ হয় । এই ঔষধ কৃমি ধ্বংস করে বিশেষত লম্বা গোলাকার বড় কৃমি ( ascarides ) ।
অ্যাসিড মিউর (Acid muriaticum ) ।> অর্শের বলীর রঙ নীল, অত্যন্ত বেদনা, হাত ছোঁয়ানও যায় না, কাপড়টি লাগিলেও কষ্ট হয়, একটু ঠাণ্ডা জল লাগিলেই যন্ত্রণা বাড়ে, যন্ত্রণা গরমে ও তাপে উপশম হয় । গর্ভাবস্থায় অর্শ পীড়া হইলে ইহা বিশেষ উপকারী । প্রস্রাব করিবার সময় অর্শের বলী বাহির হইয়া পড়ে ।
অ্যাসিড নাইট্রিকাম ( Acid nitricum ) ।> ( Fistula in ano and piles ) – বাহ্য নরম অথবা শক্ত যাহাই হউক না কেন, বাহ্যের সময় ও পরে মলদ্বারে ভয়ানক জ্বালা এবং বোধ হয় যেন মলদ্বারে একটা কাঁটা ফোটানো আছে । নাইট্রিক অ্যাসিডে – বাহ্যের সময়ে ও পরে ভয়ানক কোঁথানি ও বেগ থাকে, মলদ্বার ফাটিয়া ঘা হয়, রক্ত পড়ে ।
অ্যাসিড সালফ ( Acid sulphuricum ) ।> মদ্যপায়ীদের অর্শের বলী যখন অত্যন্ত বড় হয় ও তাহাতে মলদ্বার বন্ধ হইয়া যায় জ্বালা করে, রস পড়ে, তখন ইহা উপযোগী । অ্যাসিড-মিউর – এই সমস্ত লক্ষণে বিশেষ উপকারী ; তবে উহাতে অত্যন্ত স্পর্শ-সহিষ্ণুতা থাকে । অ্যাসিড-সালফে – মলদ্বারে সর্বদাই রস ঝরে, কাপড় ভিজা থাকে ।
ইস্কিউলাস হিপ (Aesculus hippocastannm ) ।> মলদ্বারে খোঁচা ফুটিয়া থাকার মত ব্যথা, টাটানি ব্যথা, কোমরে বেদনা ( pain in sacro-iliac symphysis pubis ) ভারবোধ, মলদ্বার যেন ভিজা, মলদ্বারে জ্বালা, চুলকানি, বলী ( ভিতর বলী ও বাহির বলী ), তাহাতে অত্যন্ত বেদনা, লিভারের নানা স্থানে ভারবোধ ; কোমরে বেদনা, মলত্যাগের পর গুহ্যদ্বারে অনেকক্ষণ পর্যন্ত জ্বালা, বাহ্যের পূর্বে যেন মলদ্বার বন্ধ ইত্যাদি ইহার বিশেষ লক্ষণ । ইস্কিউলাসের অর্শে – রক্তস্রাব বড় একটা থাকে না ( blind piles ) , তবে পীড়া পুরাতন হইলে আবার রক্তস্রাবও হয় । ইহাতে অর্শের বেদনা – কোমর হইতে পিঠে পর্যন্ত বিস্তৃত হয় ।
এলো সকোট্রাইনা ( Aloe ) ।> বাহ্যের বেগের সঙ্গে আঙ্গুরের থলোর ন্যায় অর্শের বলী বাহির হয়, অর্শ অত্যন্ত চুলকায় ও জ্বালা করে, এই জ্বালা ঠাণ্ডা জলে উপশম হয় ( মলদ্বারে চুলকানি ও জ্বালার জন্য অনিদ্রা – ইণ্ডিগো ) ; এলোতে – রোগীর প্রায়ই উদরাময় থাকে ; মিউরিয়েটিক-অ্যাসিডে – আঙ্গুরের থলোর ন্যায় বলী নির্গত হয় ; কিন্তু তাহার জ্বালা গরম জলে বা গরম সেঁক দিলে কিন্তু উপশম হয় । ইহাতে টাটানি ব্যথা অত্যন্ত থাকে, স্পর্শে কিম্বা কাপড় লাগিলেও কষ্টবোধ করে ।
এমন কার্বনিকাম ( Ammonium carbonicum ) ।> মল অত্যন্ত শক্ত, গাঁট-গাঁট কষ্টে বাহির হয়, রক্তস্রাবি অর্শ
– ঋতুকালিন বৃদ্ধি, মলদ্বার চুলকায়, বাহ্যের সময় বলী বাহির হইয়া পড়ে, বাহ্যের পর অত্যন্ত যন্ত্রণা হয় । ( Flatulent hernia ) ।
এমন মিউরিয়েটিকাম ( Ammonium muriaticum ) ।> মলদ্বারে ক্ষতের মত বেদনা , হুলফোটান-ব্যথা ও জ্বালা – মলত্যাগের পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকে ।
আর্সেনিক এ্যালবাম ( Arsenic Album ) ।> যেখানে অর্শে আগুনে পোড়ার মত জ্বালা, জ্বালা – ঠাণ্ডায় উপশম না হইয়া গরমে উপশম হয়, তথায় আর্সেনিক ফলপ্রদ ।
কলিনসোনিয়া ( Collinsonia ) ।> অর্শ পীড়ার নাম শুনিলেই – ইস্কিউলাস, কলিনসোনিয়া, এলো, নাক্স, ফস ইত্যাদি ঔষধগুলিই আমাদের মনে পড়ে । অর্শে – কলিনসোনিয়ার সহিত ইস্কিউলাসের অনেক সাদৃশ্য আছে এবং এই দুয়েতেই গুহ্যপথে যেন কতকগুলি ছোট ছোট কাঠি পোরা আছে এই লক্ষণটি বিদ্যমান থাকে । কলিনসোনিয়ায় – অর্শে অত্যন্ত রক্তস্রাব হয় ও কোষ্ঠবদ্ধ থাকে এবং পেটে বায়ু জমে ও তাহাতে কলিক-বেদনা হয় । কোষ্ঠবদ্ধে হয়ত ৩/৪ দিন বাহ্য না হইয়া একদিন বৈকালের দিকে বাহ্য হয়, মল গুটলে । ইহার বেদনা-যন্ত্রণা রাত্রিতে বৃদ্ধি পায় । যে সকল স্ত্রীলোকদের জরায়ু ক্রংশের পীড়া ( Prolapsus utery ) আছে, তাহাদের অর্শে ও কোষ্ঠবদ্ধ – কলিনসোনিয়াই উপযোগী ।
হ্যামামেলিস ( Hamamelis virginica ) ।> মলদ্বারে অত্যন্ত টাটানি-ব্যথা ও জ্বালার সহিত মলদ্বার দিয়া কাহারও অত্যন্ত অধিক পরিমাণে রক্তস্রাব হইতে থাকিলে – হ্যামামেলিস মাদার-টিংচার বাহ্যিক প্রয়োগে ও হ্যামামেলিস ( অনেক সময় মাদার ) আভ্যন্তরিক সেবনে বিশেষ উপকার হইবে । অর্শ পীড়াসহ কোমরে বেদনা থাকিলে ইহা আরও অধিক উপকারী । ( ডাঃ ক্লার্ক বলেন – ভ্যর্বাসকম মাদার টিংচার ১ ড্রাম, ১ আউন্স অলিভ অয়েল বা ভ্যাসেলিনসহ মিশাইয়া মলদ্বারে বাহ্যিক প্রয়োগ করিলে অর্শের যন্ত্রণা ও বেদনার উপশম হয় ।
হাইড্রাসটীস ( Hydrastis Canadensis ) ।> ডাঃ হিউজেস বলেন অর্শ ও গোগগুল নির্গমনে ইহা নিয়মিতভাবে সেবন করিলে এই দুইটি পীড়ায় বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।
ইগ্নেসিয়া ( Ignatia amara ) ।> বাহ্য না হইয়া রেক্টামের প্রোলাপ্স অর্থাৎ গোগগুল বা সরলান্ত্র নির্গমন – ইগ্নেসিয়ায় নির্দিষ্ট । নাক্স-ভমিকা, ইগ্নেসিয়া উভয়েই ঘন ঘন বাহ্যের বেগ আছে । বাহ্যের পরে অনেকক্ষণ পর্যন্ত মলদ্বারে ব্যথা, টাটানিভাব, ফোটানো-ব্যথা ও মলদ্বারের সঙ্কোচভাব ইগ্নেসিয়ায় বিশেষরূপে লক্ষিত হয় । রক্তস্রাবীয় অর্শে – নিন্ম মলদ্বার হইতে উদ্ধদিকে খোঁচামারা দপদপ করিয়া বেদনা, নরম বাহ্যে হইলে যন্ত্রণার অতিরিক্ত বৃদ্ধি, এইগুলিই ইগ্নেসিয়া প্রয়োগের লক্ষণ ।
ল্যাকেসিস ( Lachesis ) ।> অর্শের বলী, তাহা – অন্তবলী হউক আর বহিবলীই হউক, অত্যন্ত দপদপানি ব্যথা থাকে, কাশিতে গেলে বোধ হয় অর্শের স্থানে যেন হুল ফোটায়, আর যেন কি-একটা পদার্থ মলদ্বারে আটকাইয়া আছে, তাহার জন্য রোগী ক্রমাগত কোঁথ দেয়, বাহ্য করিবার সময় এত কষ্ট হয় যে – দাঁড়াইয়া
উঠিয়া পড়ে, মলদ্বার যেন বন্ধ হইয়া আসে । ল্যাকেসিসের মলে অত্যন্ত পচা দুর্গন্ধ হয় ।
নাক্স-ভমিকা ( Nux vomica ) ।> অনবরত বাহ্যের ইচ্ছা ও বেগ, অথচ বাহ্য খোলসা হয় না ; এই লক্ষণসহ অর্শরোগে মলদ্বার হইতে রক্ত নির্গমন, মলদ্বারে অত্যন্ত কুটকুট করা ও চুলকানি থাকিলে নাক্স-ভমিকা উপযোগী । এই পীড়ায় নাক্সে কতক উপকার হইয়া শেষে আর উপকার না হইলে সম্পূর্ণ আরোগ্যার্থে পরে প্রায়ই সালফারের প্রয়োজন হয় ।
সালফার ( Sulphur ) ।> এই পীড়ায় সালফারের ধাতুগত লক্ষণ থাকিলে-ত কথাটি নাই – সালফারেই পীড়া আরোগ্য হয় । রোগ অনেক দিনের পুরাতন হইলে, বিশেষতঃ নাক্স নাক্স-এর পর সালফার ব্যবহৃত হইলে শীঘ্র উপকার হয় । ইহাতে মলদ্বারে হুলফোটানোর মত বেদনা, জ্বালা, কুটকুট করা প্রভৃতি কতকগুলি লক্ষণ থাকে । অর্শের রক্তস্রাব বন্ধ হইয়া শিরঃপীড়া ইত্যাদি অন্য কোনও পীড়া হইলেও – সালফার ফলদায়ক ।
উল্লেখিত ঔষধ গুলির মধ্য হইতে লক্ষণ সাদৃশ্যে একটি বা দুইটি ঔষধ নিয়মিত সেবন করিলে অর্শ পিড়াটি সমূলে আরোগ্য লাভ করে যা আর পুনরায় আক্রমণ করে না ।